দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’র প্রতিবাদে রাজধানীতে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। এতে দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষও অংশ নিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় দলের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে নেতাকর্মীরা এ মিছিল শুরু করেন।

সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি মিছিল কর্মসূচিতে অংশ নিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আওয়ামী লীগ, সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জড়ো হন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সম্প্রাদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে যোগ দেন নেতাকর্মীরা।

বেলা ১১টার পরে সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এর আগেই সমাবেশের পরিধি কার্যালয়ের সামনে থেকে আশপাশের সড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জনসমাগমের কারণে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আশপাশের সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই কর্মসূচির কারণে রাজধানী জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সাড়ে ১১টার আগে মিছিল শুরু হয়। যা শেষ হওয়ার কথা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে। বেলা ১২টা ১০ মিনিটে মিছিলের সামনে অংশ শহীদ মিনারের কাছাকাছি পৌঁছালেও পেছনের অংশ তখনও সচিবালয়ের সামনেই ছিল।

শান্তি সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রায় দুই বছর পর মাঠে নামলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে রাজনৈতিক কর্মসূচি চার দেয়ালের ভেতরে চলে গিয়েছিল।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলায় ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দ সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় দলীয় সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভাশেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তৎপরতা প্রতিরোধ করার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।